আর মাত্র এক দিন পরেই ঈদুল ফিতর। তাই ঈদকে স্বাগত জানাতে এবং উৎসবকে আরো আনন্দময় করে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। পিছিয়ে নেই শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। ঈদের ব্যস্ততায় রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘিও।
ঈদের দিন রান্নাবান্না করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন দীঘি।
সম্প্রতি দেশের এক সংবাদমাধ্যমে আসন্ন ঈদকে ঘিরে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দীঘি। এ সময় অভিনেত্রী জানান, মা নেই, তাই ঈদের দিনের সব রান্নাবান্না তিনিই করেন।
দীঘি বলেন, ‘ঈদের দিন ইন্দিরা রোডের বাসায়ই থাকব।
একটা বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ঈদ স্পেশাল সেলিব্রিটি অনুষ্ঠানে থাকব ঈদের দিন। তবে ঈদের দিন যার কথা ভেবে সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে, তিনি আমার মা ইফতে আরা ডালিয়া দোয়েল। ২০১১ সালে মায়ের মৃত্যুর পর মা-বাবা বলতে এখন বাবা সুব্রত বড়ুয়া আমার সব। ছোটবেলায় মাকে হারানোর পর বাবাকেই মায়ের ভূমিকায় পেয়েছি।
শুধু আমার জন্যই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বাবা। তাই বাবার প্রতি বাড়তি আবেগ আর অসীম শ্রদ্ধা কাজ করে। মা যখন অসুস্থ, তখন বাবা হাসপাতালের বিছানায় মাকে সামলেছেন, আবার আমাকেও সামলেছেন। পরিবারের সঙ্গেই কেটেছে আমার শৈশব ও কৈশোরের বর্ণিল ঈদগুলো। এখনো ঈদ আসে।
তবে আগের মতো করে ঈদ উদযাপন করতে পারি না।’
অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘আগে যেমন পাখির মতো ডানা মেলে উড়তে পারতাম, এখন তেমনটা পারি না। ঈদ এলে ঠিকই আনন্দে মেতে উঠি। ঘটা করে চলে কেনাকাটার পাশাপাশি ঈদের দিনের পরিকল্পনাও।’
মায়ের কথা স্মরণ করে দীঘি বলেন, ‘শৈশবে ঈদের দিনে মায়ের হাতের রান্না খেতাম মজা করে। জগতের সব মায়ের মতো আমার মাও রান্না করতেন অনেক মজা করে। আজ মা নেই। তাই এখন ঈদের দিনের সব রান্না আমিই করি। কেবল রান্নাবান্না নয়, ঘর গোছানো থেকে শুরু করে ঈদের দিনের সব কাজ একাই সামলাই বলা যায়! ইন্দিরা রোডের বাসায় বন্ধুরা আসে। তাদের নিয়ে আড্ডা দিই। খাওয়াদাওয়া করি।’
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলার ঈদের দিনের পরিকল্পনাগুলোর কথা মনে পড়লে এখন হাসিই পায়। কিন্তু অন্য রকম এক ভালো লাগাও কাজ করে মনের মধ্যে। কত সহজ-সরল আর ভাবনাহীন ছিল শৈশবের ঈদ। সকালে গোসল সেরে বড়দের সালাম দিয়ে শৈশবের ঈদ শুরু হতো। বড়দের সালাম দিয়ে সালামির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম! সালামি নিয়ে সে কত কত স্মৃতি, কত কী কিনতাম! তখন একমাত্র সালামির টাকাগুলোকেই নিজের টাকা মনে হতো। এ ছাড়া তেমন টাকাই হাতে পেতাম না। তাই সালামি হাতে পেয়েই নানান পরিকল্পনায় বসতাম। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই করা হতো না সালামির টাকা দিয়ে।’
এবার ঈদে দীঘির কোনো চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে না। তবে সদ্যই মাহমুদুর রহমান হিমি পরিচালিত একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের কাজ শেষ করেছেন দীঘি। ঈদের পর ১৮ তারিখ কালচারাল শো করতে লেবাননে যাবেন অভিনেত্রী।