নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মুরাদপুর এলাকায় মনিরুজ্জামান মনু (৪২) নামে এক সন্ত্রাসীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাসিক ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাদপুরে নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।।
মনু নাসিক ২৭ নম্বর ওয়ার্ড মুরাদপুর এলাকার মৃত কামালুদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।নিহত মনুর স্ত্রী সাবিনার অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার সন্ত্রাসী- মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নিহত মনুর ছেলে মিনহাজ ও ভাগনি মুনমুন জানান, সোনারগাঁয়ের কুতুবপুর এলাকায় মামির জানাজা শেষে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মনিরুজ্জামান মনু বন্দরের মদনপুরের মুরাদপুর নিজ বাড়িতে আসেন। এ সময় একই এলাকার নুরা মিয়ার তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ঘর থেকে বের করে প্রথমে মাথায় গুলি ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মনিরুজ্জামান মনুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় প্রতিপক্ষ একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, নিহত মনু মুরাদপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কামুর ছোট ভাই। তার আরেক ভাই আবুল পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। কামু পুলিশ হেফাজতে মারা যান। এছাড়া এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত মনুর ভাই নুরুজ্জামান নুরা ও বাবুল আক্তার, বড় বোন নিলুফা ও রেহানা অপর সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে খুন হয়েছেন। তার পর থেকে মনু কাপাসিয়ায় বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার নিহত মনু পাশ্ববর্তী সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরের কুতুবপুর এলাকায় তার মামি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যান। শুক্রবার সকালে মনু নিজ বাড়িতে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। মদনপুর ও মুরাদপুর এলাকায় দুই গ্রুপের বিরোধ প্রায় ২ যুগ ধরে। এ বিরোধে দুই গ্রুপের এ পর্যন্ত ১৬ জন খুন হয়েছে।