নরসিংদীর রায়পুরায় পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে লিটন মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী।
বুধবার (০৫ জুন) দুপুরে রায়পুরা উপজেলার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লিটন মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সবুজ বলেন, আমার দাদা তমিজ উদ্দিন খন্দকার মৃত্যুবরণ করার পর দাদার পৈতৃক ওয়ারিশ বলে আমার বাবা লিটন মিয়া মালিক হন। এছাড়া ওই সম্পত্তিতেই আরো একটু সম্পত্তি ৭২০৮ নং দলিল মূলে ক্রয়সূত্রে মালিক হন আমার বাবা। আমরা আমার প্রতিবন্ধী ভাইয়ের চিকিৎসা করতে এলাকার বাহিরে অবস্থান করলে রায়পুরা পৌরসভার পশ্চিম হরিপুর গ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া জমি দখল করে স্থাপনা নির্মান করে। পরবর্তীতে আমি, আমার পিতা এবং প্রতিবন্ধী ভাইসহ স্বজনরা বাধা প্রদান করলে বিল্লাল মিয়া ও তার লোকজন সেই বাধা উপেক্ষা করে জমিতে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায় এবং আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। পরে আমরা কোন উপায় না পেয়ে আমার বাবা বাদী হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি -১৪৫ ধারায় নরসিংদী কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। তবে বিল্লাহ মিয়া জমির পক্ষে রায় নিয়ে এসেছে দাবী করে জমিতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কোন উপায় না পেয়ে আমরা আরো একটি দেওয়ানী আইনে আরেকটা মামলা দায়ের করি। তারপর ও প্রতিপক্ষ বিল্লাল মিয়া আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আমাদের জমিতে কর্মকাণ্ড ও চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্থানীয়ভাবেও বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করি তবে এতে ব্যর্থ হই। এখন আমরা আমাদের প্রতিবন্ধী ভাই, মা, বাবা নিয়ে নিঃস্ব হয়ে পরেছি। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমাদের জমি আমাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
ভুক্তভোগী লিটন মিয়া জানান, বিল্লাল দাবি করে আমার সৎ ভাইয়ের কাছ থেকে সে জমি ক্রয় করেছে। এখন সৎ ভাই আমার পৈত্রিক সম্পত্তি এবং আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি কীভাবে বিক্রি করে..? বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় দরবার সালিশের মাধ্যমে বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বিল্লালকে মানাতে ব্যর্থ হয়। এখন আমি আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে খুব অসহায়ত্বের মাঝে দিন পার করছি। যেখানে সরকার প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন ভাতা, জমি দিয়ে সহযোগিতা করছে, সেখানে রায়পুরায় প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে জমি ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই এবং আমাদের জমি ফেরত চাই। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
প্রকাশক: মীযানুর রহমান ও সম্পাদক: এম আলতাফ মাহমুদ
Copyright © 2024 পরিবেশ কন্ঠ. All rights reserved.