সোনারগাঁ(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃসোনারগাঁও উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সাদিপুর ওলামা নগরের সুমি আক্তার রুম ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন পতিতা মেয়েদের এনে জমা রাখে।
কখনো তার ভাড়াটিয়া বাসায় কিংবা হোটেলে রাতযাপন করতে হয় নতুন নতুন খদ্দেরের সঙ্গে।আর এর সঙ্গে যুক্ত থাকে কয়েকজন দালালচক্র।
এতে এলাকার স্কুল কলেজের ছেলেরা খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে।
শুক্রবা(৩০ আগষ্ট) জুম্মার নামাজের পর সাদিপুর আলিম মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু জাফর ও সোনারগাঁ থানার উত্তরের জামায়াত ইসলামের আমীর মোঃ ইসাক সাহেবের নেতৃত্বে এলাকার মুরুব্বী ও জামাত শিবিরের এবং বিভিন্ন স্তরের লোকজনদেরকে নিয়ে সুমির ভারাটিয়া বাসায় যায় এবং সুমিকে বলে আসে যাতে আজকের পর থেকে আর কোনদিন যাতে এখানে পতিতালয় হিসেবে কোন বাসা না থাকে।
তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জকে বলা হয়েছ এবং সোনারগাঁ থানার ওসিকে বলা হয়েছে।
২০১২ সালে আমাদের দেশে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন তৈরি হয়। এ আইনের ১২(১) ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি পতিতালয় স্থাপন বা পরিচালনা করিলে অথবা তাহা স্থাপন বা পরিচালনা করিতে সক্রিয়ভাবে সহায়তা বা অংশগ্রহণ করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বছর এবং অনূ্যন ৩ (তিন) বছর সশ্রম কারাদন্ডে এবং ইহার অনূ্যন ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।
এ আইনের ১৩ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি রাস্তায় বা জনসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে অথবা গৃহ অভ্যন্তরে বা গৃহের বাইরে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে মুখের ভাষায় বা অঙ্গভঙ্গি করে বা অশালীন ভাবভঙ্গি দেখিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তিকে আহ্বান জানালে সে অপরাধ করেছে বলে গণ্য হবে। এ রকম অপরাধের জন্য সে অনধিক তিন বছর কারাদন্ডে অথবা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। আমাদের দন্ডবিধির ২৯০ ধারায় গণ-উপদ্রব নামের একটি আইন আছে। সেই আইনের অধীনে অনৈতিক কাজে লিপ্তদের শাস্তি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা জরিমানা।